বিপণনের সময় নিম্নলিখিত সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে-
খামারের নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত জীবন্ত ব্রয়লার বিক্রি করতে হবে;
ব্রয়লার বিক্রির ৫-৭ দিন পূর্ব থেকে ব্রয়লারকে কোনো প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো উচিত নয়, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর;
বড় শহরের কাছাকাছি যেখানে ক্রেতা বেশি সেখানে ব্রয়লার বিপণন সুবিধা;
বাজার থেকে খামারের দূরত্ব বিবেচনায় রাখতে হবে;
ব্রয়লার বিক্রি করার জন্য পূর্ব থেকেই খামারিকে বিক্রয় কেন্দ্র বা পাইকারি বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যাতে লাভজনক মূল্যে ব্রয়লার বিক্রি করা যায়;
সাধারণত এক ব্যাচের সমস্ত ব্রয়লার একদিনে বিক্রি করা ভালো, তাতে পরিবহন খরচ কম পড়ে। অবশ্য নির্দিষ্ট ওজনের ব্রয়লার সরবরাহের জন্য মোরগ ব্রয়লার আগে বিক্রি করা যায়। ব্রয়লার সম ওজনের হলে পরে বিক্রি করা যায়;
কোনো কারণে এক সাথে সমস্ত ব্রয়লার বিক্রি করা সম্ভব না হলে জবেহ্ করে পালক ও নাড়িভুঁড়ি ফেলানোর পর প্রক্রিয়াজাত করে ঠান্ডা ঘরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হয়;
তবে সব ভোক্তাই প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস পছন্দ নাও করতে পারে। কারণ ইসলামি শরিয়াত মতে জবেহ্ করার বিষয়ে অনেকের সন্দেহ থাকে বা অনেকে মৃত মুরগির মাংস প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করতে পারে। এ ধরনের ভোক্তা জীবস্ত মুরগি ক্রয়কে বেশি পছন্দ করে;
ভোক্তার রুচি ও পছন্দের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক প্রক্রিয়াজাত কারখানায় মুরগি জবেহ্, ভালো মুরগির মাংস ইত্যাদি বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ব্রয়লার ধরার ২-৩ ঘন্টা পূর্ব থেকে খাদ্য বন্ধ করতে হয় এতে মাংসের গুণাগুণ ভালো থাকে ।
ব্রয়লার ধরার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা না হলে মুরগির পা বা পাখা ভেঙে যেতে পারে, মাংস থেতলে যেতে পারে।
পরিবহনের খাঁচার উন্নতি সাধন ও পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা প্রয়োজন ।
গ্রামাঞ্চলে নির্দিষ্ট ঋতুতে সংক্রামক রোগ দেখা দিলে বাজারের মুরগির আমদানি বেশি হয়, ফলে বাজারে ব্রয়লারের দাম কমে যায়।
আবার বিশেষ ঋতুতে ডিম পাড়া শেষে ডিম পাড়া মুরগি বাজারে বেশি আমদানি হয়, ফলে দাম কমে যায়। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।